ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া, থাকা, খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম-২০২৪
আপনি কি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া, থাকা, খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল
নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে বলব আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনরি জন্য এ বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এছাড়াও ঢাকা থেকে কোন কোন বাসে কক্সবাজার যাওয়া যায়, ঢাকা থেকে
কক্সবাজার যাওয়ার বাসের সময়সূচী সহ বিভিন্ন বিষয় জানতে আমার এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কোন কোন বাসে যাওয়া যায়
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস রয়েছে, যারা এসি এবং নন-এসি উভয়
ধরনের বাস সেবা প্রদান করে থাকে। এখানে কিছু জনপ্রিয় বাস সার্ভিসের তালিকা দেওয়া
হলোঃ
শ্যামলী পরিবহনঃ এসি এবং নন-এসি উভয় ধরনের সার্ভিস প্রদান করে। ঢাকা থেকে
বিভিন্ন স্থানে (যেমন: কল্যাণপুর, গাবতলী, ফকিরাপুল) বাস ছাড়ে।
হানিফ এন্টারপ্রাইজঃ এসি এবং নন-এসি উভয় ধরনের বাস সেবা। ঢাকার কল্যাণপুর,
গাবতলী এবং অন্যান্য প্রধান বাস কাউন্টার থেকে বাস ছাড়ে।
গ্রীন লাইন পরিবহনঃ কক্সবাজারের জন্য এসি বাস সার্ভিস প্রদান করে।
ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে।
এস আলম পরিবহনঃ এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস রয়েছে। ঢাকার ফকিরাপুল ও
সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ে।
সেন্ট মার্টিন পরিবহনঃ এসি বাস সার্ভিস প্রদান করে। প্রধানত সায়েদাবাদ বাস
টার্মিনাল থেকে ছাড়ে।
সোহাগ পরিবহনঃ এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস। ঢাকার ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ থেকে
বাস ছাড়ে।
ইউনিক পরিবহনঃ নন-এসি বাস সেবা প্রদান করে। সায়েদাবাদ ও কল্যাণপুর থেকে
বাস ছাড়ে।
সাফারি পরিবহনঃ এসি ও নন-এসি বাস রয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রুটে
সার্ভিস প্রদান করে।
বাসগুলোর সময়সূচী এবং টিকিটের প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানতে সরাসরি বাস কাউন্টার বা
অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া ভালো।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার বাসের সময়সূচী
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর সময়সূচী নির্ভর করে বাস সার্ভিস এবং দিনের
নির্দিষ্ট সময়ের উপর। সাধারণত, কক্সবাজারের বাসগুলো রাতের দিকে ছাড়ে, কারণ দীর্ঘ
যাত্রা (প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা) হয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় বাস সার্ভিসের সাধারণ সময়সূচী
দেওয়া হলোঃ
শ্যামলী পরিবহন (Shyamoli Paribahan)
- নন-এসি বাস: রাত ৭:৩০ PM, ৮:৩০ PM, ৯:৩০ PM
- এসি বাস: রাত ৯:৩০ PM, ১০:৩০ PM, ১১:৩০ PM
হানিফ এন্টারপ্রাইজ (Hanif Enterprise)
- নন-এসি বাস: রাত ৮:০০ PM, ৯:০০ PM, ১০:০০ PM
- এসি বাস: রাত ৯:৩০ PM, ১০:৩০ PM, ১১:৩০ PM
গ্রীন লাইন পরিবহন (Green Line Paribahan)
- এসি বাস: সকাল ১০:৩০ AM, বিকেল ২:৩০ PM, রাত ১১:০০ PM
এস আলম পরিবহন (S Alam Paribahan)
- নন-এসি বাস: রাত ৭:৩০ PM, ৮:৩০ PM, ৯:৩০ PM
- এসি বাস: রাত ৯:৩০ PM এবং ১০:৩০ PM
সেন্ট মার্টিন পরিবহন (Saint Martin Paribahan)
- এসি বাস: রাত ৯:০০ PM এবং ১০:০০ PM
সোহাগ পরিবহন (Sohag Paribahan)
- নন-এসি বাস: রাত ৮:৩০ PM, ৯:৩০ PM, ১০:৩০ PM
- এসি বাস: রাত ১০:৩০ PM এবং ১১:৩০ PM
ইউনিক পরিবহন (Unique Paribahan)
- নন-এসি বাস: রাত ৮:৩০ PM, ৯:৩০ PM
সাফারি পরিবহন (Safari Paribahan)
- নন-এসি বাস: রাত ৮:০০ PM, ৯:০০ PM
- এসি বাস: রাত ১০:০০ PM
অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম:
- টিকিট অনলাইনেও পাওয়া যায়। যেমন - Shohoz, Busbd, BDTickets ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে।
ভ্রমণের তারিখ, আসনের প্রাপ্যতা এবং উৎসবের সময়সূচীর উপর ভিত্তি করে সময়সূচীতে
কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। সুনির্দিষ্ট সময় জানতে বাস কাউন্টার বা অনলাইন
টিকিটিং ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করা উত্তম।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাসের ভাড়া কত
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসের ভাড়া বাসের ধরন এবং সেবার মান অনুযায়ী পরিবর্তিত
হয়। এখানে এসি এবং নন-এসি বাসের সাধারণ ভাড়ার ধারণা দেওয়া হলোঃ
নন-এসি বাস ভাড়াঃ ৯০০ থেকে ১,২০০ টাকা (প্রতি যাত্রী)
পরিবহনঃ শ্যামলী, হানিফ, এস আলম, সোহাগ, ইউনিক ইত্যাদি।
এসি বাস ভাড়াঃ ১,৮০০ থেকে ২,৫০০ টাকা (প্রতি যাত্রী)
পরিবহনঃ গ্রীন লাইন, শ্যামলী, সোহাগ, হানিফ, এস আলম, সেন্ট মার্টিন
ইত্যাদি।
ভাড়া কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে নির্দিষ্ট সেবার মান, আসনের ধরন, এবং উৎসব বা
ছুটির সময়ের উপর ভিত্তি করে। তাই যাত্রার আগে বাস কাউন্টার বা অনলাইন টিকিটিং
প্ল্যাটফর্মে খোঁজ নেওয়া উত্তম।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার বাসের কাউন্টার এর নাম্বার
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর বিভিন্ন পরিবহন সংস্থার ঢাকার কাউন্টারগুলোর
যোগাযোগ নম্বর নিচে দেওয়া হলো। এই নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে আপনি বাসের সময়সূচী,
টিকিটের প্রাপ্যতা, এবং অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন:
শ্যামলী পরিবহন (Shyamoli Paribahan)
- গাবতলী কাউন্টারঃ ০১৭১১৬৯৪৯৬০
- কল্যাণপুর কাউন্টারঃ ০১৭১১১৩১০৭০
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৭১৩৪৬৪৫৮৫
হানিফ এন্টারপ্রাইজ (Hanif Enterprise)
- গাবতলী কাউন্টারঃ ০১৭১৩৭৬৫৯৬০
- কল্যাণপুর কাউন্টারঃ ০১৭১৩৩৭৩৬০৬
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৭১৩৪৬৫৬৪৬
গ্রীন লাইন পরিবহন (Green Line Paribahan)
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৯৭৭৭৭৭৭৮০
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৭৩০৪৬৬২৩৮
- কল্যাণপুর কাউন্টারঃ ০১৭৩০৪৬৬২৩৯
এস আলম পরিবহন (S Alam Paribahan)
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৭৬৬৬৯৯৯২০
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৭৫৫৬৬৯৩৩৫
- গাবতলী কাউন্টারঃ ০১৭৫৫৬৬৯৩৩৮
সোহাগ পরিবহন (Sohag Paribahan)
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৭১৮৬৫৬৯৪৫
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৮৪৪৪৭৫৭৫৫
- কল্যাণপুর কাউন্টারঃ ০১৮৪৪৪৭৫৭৫৬
সেন্ট মার্টিন পরিবহন (Saint Martin Paribahan)
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৬৩৮০০০৫০৫
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৭১১৬৭৩৫৩২
ইউনিক পরিবহন (Unique Paribahan)
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৯২২২২২৩৮৮
- কল্যাণপুর কাউন্টারঃ ০১৭১২৮২৩৩৮৫
সাফারি পরিবহন (Safari Paribahan)
- ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৬১৩১৩১৩৩১
- সায়েদাবাদ কাউন্টারঃ ০১৭১২৮৩৩৩৭৭
বাসের সময়সূচী ও টিকিটের প্রাপ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই নম্বরগুলোতে
যোগাযোগ করা যাবে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ৩৯১ কিলোমিটার (সড়কপথে)। তবে এই দূরত্বটি
কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে রুটের উপর ভিত্তি করে। সাধারণত ঢাকা থেকে কক্সবাজার
যাত্রা করতে বাসের মাধ্যমে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে, যা রাস্তার অবস্থা
এবং যানজটের উপর নির্ভর করে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার নিয়ম
ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের কোনো ট্রেন সার্ভিস বর্তমানে চালু নেই। তবে,
বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে একটি ট্রেন প্রকল্পের কাজ চলছে, যা ঢাকা থেকে সরাসরি
কক্সবাজার ট্রেন সংযোগ স্থাপন করবে। আশা করা হচ্ছে, কাজ শেষ হলে কক্সবাজারে
সরাসরি ট্রেনে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটি "দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম
রেলপথ" নামে পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি
বর্তমান পদ্ধতি (ট্রেন + বাস)
যদিও সরাসরি ট্রেন নেই, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়া যায় এবং এরপর
চট্টগ্রাম থেকে বাস বা গাড়ি করে কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব। এর ধাপগুলো হলোঃ
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনঃ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের জন্য বেশ কিছু ট্রেন
রয়েছে। যেমন-
- সুবর্ণ এক্সপ্রেস (এসি ও নন-এসি)
- সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (এসি ও নন-এসি)
- তূর্ণা এক্সপ্রেস (নাইট কোচ)
- মহানগর প্রভাতী/গোধূলী (এসি ও নন-এসি)
এই ট্রেনগুলোর সময়সূচী এবং টিকিট বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
(eticket.railway.gov.bd) থেকে বা স্টেশনে পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার বাসঃ
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার, যা বাসে প্রায় ৩ থেকে ৪
ঘণ্টা সময় নেয়।
চট্টগ্রামের বাস স্ট্যান্ড থেকে কক্সবাজারের জন্য অনেক বাস সার্ভিস পাওয়া যায়।
যেমন-
- শ্যামলী পরিবহন
- হানিফ এন্টারপ্রাইজ
- এস আলম পরিবহন
- সোহাগ পরিবহন
ভবিষ্যতের ট্রেন যোগাযোগ:
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হলে, এটি সরাসরি ঢাকা থেকে
কক্সবাজার পর্যন্ত যাতায়াতের একটি সহজ উপায় হবে। ট্রেন লাইনটি চালু হলে ট্রেনের
মাধ্যমে সরাসরি ভ্রমণ করা যাবে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম - ২০২৪
২০২৪ সালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া, থাকা, খাওয়া এবং গাড়ি ভাড়া করার বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে একটি গাইডলাইন নিচে দেওয়া হলো, যা ভ্রমণকারীদের জন্য সহায়ক হবে।
যাতায়াতের নিয়ম (বাস এবং বিমান):
বাসে যাওয়া (AC এবং Non-AC)
ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাসে ভ্রমণের জন্য বেশ কিছু এসি এবং নন-এসি বাস সার্ভিস
রয়েছেঃ
এসি বাসের ভাড়া: ১,৮০০ - ২,৫০০ টাকা (প্রতি যাত্রী)। নন-এসি বাসের ভাড়া: ৯০০ -
১,২০০ টাকা (প্রতি যাত্রী)
বিখ্যাত বাস কোম্পানিগুলোঃ শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গ্রীন
লাইন, এস আলম, সোহাগ পরিবহন
সময়সূচীঃ বাসগুলো সাধারণত রাতে ছাড়ে, যেমন ৮:৩০ PM, ৯:৩০ PM, এবং ১০:৩০
PM। এসি বাসের ক্ষেত্রে দুপুরের সময়েও বাস পাওয়া যায়।
বিমানে যাওয়াঃ
যদি দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন হয়, আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের জন্য ফ্লাইট নিতে
পারেন। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা এবং নভোএয়ার কক্সবাজারে নিয়মিত ফ্লাইট
পরিচালনা করে।
ভাড়া (একদিকে): ৪,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা (প্রতি যাত্রী) নির্ভর করে আগাম বুকিং এবং
সময়ের উপর।
কক্সবাজারে থাকার ব্যবস্থাঃ
কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরনের হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে, যা আপনার বাজেট ও প্রয়োজন
অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় থাকার জায়গা এবং ভাড়া সম্পর্কে ধারণা
দেওয়া হলোঃ
বাজেট হোটেল (সাধারণ হোটেল):
- ভাড়া: ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা প্রতি রাত। এছাড়া হোটেল জিয়া, হোটেল সীগাল, হোটেল কোহিনূর ইত্যাদি।
মিড-রেঞ্জ হোটেল:
- ভাড়া: ৩,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা প্রতি রাত। এছাড়া হোটেল দি কক্স টুডে, হোটেল লংবিচ, সি প্যালেস ইত্যাদি।
লাক্সারি রিসোর্ট এবং হোটেলঃ
- ভাড়া: ৭,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা প্রতি রাত বা তার বেশি। এছাড়া হোটেল রয়েল টিউলিপ, সায়মন বিচ রিসোর্ট, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
খাবারের ব্যবস্থাঃ
কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টে খাওয়া যায়। এখানকার খাবার সাধারণত
সি-ফুডের জন্য বিখ্যাত। মাছ, চিংড়ি, এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা খুবই
বেশি। এছাড়া, শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানে দেশি ও বিদেশি খাবারের
আয়োজন থাকে।
জনপ্রিয় খাবারের স্থানঃ
- ফেমাস ফাইভ (ইন্টারন্যাশনাল কুইজিন)
- মাঝি ফিশ রেস্টুরেন্ট (সি-ফুড স্পেশাল)
- ইউনিট রেস্টুরেন্ট (বিরিয়ানি এবং সি-ফুড)
- পানসি রেস্টুরেন্ট (দেশি খাবার)
খরচঃ
জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম গড়ে ৩০০-৬০০ টাকা প্রতি বেলার জন্য।
ফাস্ট ফুড এবং স্ট্রিট ফুডের দাম কম হয়, প্রতি বেলা ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে খাওয়া
সম্ভব।
কক্সবাজারে গাড়ি ভাড়া করার নিয়মঃ
কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ভাড়া পাওয়া যায়। যেমন প্রাইভেট কার,
মাইক্রোবাস, সিএনজি, বা জীপ। স্থান ভ্রমণের জন্য নিজের সুবিধামতো গাড়ি ভাড়া নেওয়া
যেতে পারে।
প্রাইভেট কারঃ
ভাড়া: ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা (দিনভিত্তিক)
কক্সবাজার শহরের আশপাশের পর্যটন স্থান ভ্রমণের জন্য প্রাইভেট কার বেশ জনপ্রিয়।
মাইক্রোবাসঃ
ভাড়া: ৪,৫০০ থেকে ৮,০০০ টাকা (পরিবর্তনশীল)
বিশেষ করে দলবদ্ধভাবে ভ্রমণের জন্য মাইক্রোবাস ভাড়া করা যায়।
জীপ (হিমছড়ি ও ইনানী বিচের জন্য):
ভাড়া: ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা
ইনানী, হিমছড়ি এবং মার্টিন আইল্যান্ডের মতো স্থানে যাওয়া জন্য জীপ ভাড়া করা হয়।
সিএনজি অটোরিকশাঃ
ভাড়া: ৫০০ থেকে ১,২০০ টাকা (ছোট ছোট যাত্রার জন্য)
শহরের ভেতরে ছোট দূরত্বের জন্য জনপ্রিয়।
কক্সবাজারের কিছু জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান:
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- হিমছড়ি জলপ্রপাত
- ইনানী বিচ
- মহেশখালী দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ (জীপ বা নৌকায় যেতে হয়)
কক্সবাজারে ভ্রমণের জন্য আপনি যাতায়াত, থাকা, খাওয়া এবং গাড়ি ভাড়া করার
নিয়মগুলো পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। আগে থেকে হোটেল ও যানবাহন বুকিং করা ভালো,
বিশেষ করে ছুটির সময় বা পিক সিজনে।
কক্সবাজার গিয়ে হোটেল ভাড়া করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
২০২৪ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যা
আপনাকে সাহায্য করবে একটি সফল এবং আরামদায়ক stay-এর জন্য। এখানে কক্সবাজারে হোটেল
ভাড়া করার নিয়ম, টিপস এবং পরামর্শ দেওয়া হলো:
হোটেল বাছাইঃ
বাজেট হোটেলঃ
ভাড়া: ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা প্রতি রাত
হোটেল গুলো হলোঃ
- হোটেল জিয়া
- হোটেল সীগাল
- হোটেল কোহিনূর
মিড-রেঞ্জ হোটেলঃ
ভাড়া: ৩,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা প্রতি রাত
হোটেল গুলো হলোঃ
- হোটেল দি কক্স টুডে
- হোটেল লংবিচ
- সি প্যালেস
লাক্সারি রিসোর্ট এবং হোটেলঃ
ভাড়া: ৭,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা বা তার বেশি প্রতি রাত
হোটেল গুলো হলোঃ
- হোটেল রয়েল টিউলিপ
- সায়মন বিচ রিসোর্ট
- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট
বুকিংয়ের পদ্ধতি
- অনলাইন বুকিং
- বুকিং ওয়েবসাইট
- Booking.com
- Agoda
- Expedia
- Hotels.com
অ্যাপস
- MakeMyTrip
- TripAdvisor
- Airbnb (সাধারণত প্রাইভেট অ্যাপার্টমেন্টসের জন্য)
ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ: বিশেষ করে পিক সিজন বা হোলিডে সময়ের জন্য আগাম বুকিং করা উত্তম।
ডাইরেক্ট বুকিং
- হোটেল ওয়েবসাইট: অনেক হোটেল তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি বুকিংয়ের সুবিধা দেয় এবং মাঝে মাঝে সরাসরি বুকিংয়ে ডিসকাউন্টও দিতে পারে।
- কাউন্টার বুকিং: আপনি কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর সরাসরি হোটেল কাউন্টারে গিয়ে বুকিং করতে পারেন, তবে এটা ঝুঁকির হতে পারে কারণ হোটেল গুলি পূর্ণ হতে পারে।
বুকিংয়ের সময়ের বিবেচনা
- সিজনাল ফ্যাক্টর: উচ্চ মৌসুম যেমন শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) এবং ছুটির সময় হোটেলের ভাড়া বেশি হয়।
- বিশেষ উপলক্ষ: স্থানীয় উৎসব, সরকারি ছুটির দিন এবং পিক সিজনে বুকিং আগেই করা উচিত।
ফ্যাসিলিটিস ও সার্ভিস
- ফ্রি ওয়াই-ফাই: বেশিরভাগ আধুনিক হোটেলই ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান করে।
- ব্রেকফাস্ট: অনেক হোটেলে ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভুক্ত থাকে, নিশ্চিত করুন আগে থেকেই।
- ট্রান্সপোর্ট: হোটেল থেকে এয়ারপোর্ট বা স্টেশন ট্রান্সফার সেবা পাওয়া যায় কি না, তা যাচাই করুন।
- স্বাস্থ্যসেবা: সুইমিং পুল, জিম, স্পা এবং অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায় কিনা দেখুন।
ভাড়া করার পর
- যাচাইকরণ: বুকিংয়ের কনফার্মেশন ইমেইল বা এসএমএস সংরক্ষণ করুন এবং হোটেলের সাথে পুনরায় যোগাযোগ করুন চেক-ইন সময় নিশ্চিত করার জন্য।
- চেক-ইন/চেক-আউট সময়: সাধারণত চেক-ইন সময় বেলা ২টা এবং চেক-আউট সময় দুপুর ১২টা, কিন্তু এটি হোটেলের নীতির উপর নির্ভর করে।
হোটেল সিলেকশন টিপস
- রিভিউ পড়ুন: অন্যান্য অতিথিদের রিভিউ ও রেটিং পড়ুন, যাতে আপনি হোটেলের মান এবং পরিষেবা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।
- লোকেশন: সমুদ্র সৈকত কিংবা শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি থাকা সুবিধাজনক হতে পারে।
- বুকিং কনফার্মেশন: বুকিং কনফার্মেশন পেয়েছেন কিনা নিশ্চিত করুন এবং হোটেলের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া, থাকা, খাওয়া গাড়ি ভাড়া
করার সকল নিয়ম-২০২৪ সম্পর্কে পুরো বিষয় বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। কক্সবাজারে থাকার জন্য সঠিক হোটেল নির্বাচন এবং বুকিং প্রক্রিয়া
আপনাকে একটি আরামদায়ক এবং উপভোগ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করবে। বুকিংয়ের আগে সব তথ্য
যাচাই করে নিতে ভুলবেন না।
আজকের এই পোষ্টটি আপনার কেমন লাগলো। আর হ্যাঁ যদি ভালো লেগেই থাকে তাহলে আপনার
ফেসবুক ফ্রেন্ডস সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টটি শেয়ার করে দিন। আজকের মত আমি
এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবারো পরবর্তী কোন আর্টিকেলে দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে, সেই
পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url