অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি উপায়

আপনি কি তাদের মধ্যে একজন যারা অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি উপায়ে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন? তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। 


হতে পারে আপনি একজন ছাত্র, একজন বেকার, একজন কর্মজীবি কিংবা এজন গৃহিণী এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। আপনার সময় বৃথা যাবে না যদি আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন।

সূচিপত্র: অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি উপায়

.
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে আর তার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলেই আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে টাকা সম্পূর্ণ ফ্রিতে আয় করা সম্ভব। এখানে আপনি কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই আয় করতে পারবেন। অথবা অল্প কিছু ইনভেস্ট করে আপনি অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা আয় করতে পারবেন। 

বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদের অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি উপায় দেখাবো যেগুলো অনলাইনে করা সম্ভব। এমন টেকনিক নিয়ে আপনাকে অনলাইনে কাজ শুরু করতে হবে যেন সেই কাজটা থেকে আপনার সারা জীবন আয় হয়। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে গেলে কিছু জিনিস অবশ্যই আপনার থাকতে হবে। যেমন-
  • প্রয়োজনীয় দক্ষতা,
  • নিষ্ঠা ও পরিশ্রম,
  • অনলাইন মার্কেটিং,
  • ইন্টারনেট সংযোগ,
  • কম্পিউপার বা ল্যাপটপ,
  • অন্যান্য সরঞ্জাম- যেমন ক্যামেরা, মাইক্রোফন ইদ্যাদি।
স্পেসিফিক বিষয়কে কেন্দ্র করে অবশ্যই কাজ গুলো শিখতে এবং করতে বেশ কিছু সময় লাগবে তবে আপনার উচিৎ হবে হাল ছেড়ে না দেয়া। তাহলে চলুন এবার যাওয়া যাক আমাদের কাঙ্খিত অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি বিষয়ের মূল আলোচনায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং

আপনার ঘরে বসে আয় করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল মার্কেটি। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয় পেশা গুলোর মধ্যে একটি। আপনি চাইলে খুব সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বাসায় বসে থেকে ইনকাম করতে পারবে। তার আগে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে একজন ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 


যদি আপনি নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কোনো বিশেষ প্রযুক্তিগত ডিগ্রির দরকার নেই। শুধু জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতাই এই পেশার জন্যে যথেষ্ট। আপনি যে কোন আইটি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে অর্ডিনারি আইটি থেকে কোর্স করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট

ঘরে বসে ইনকামের আরেকটি উপায় হল ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট। বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তি ঘরে বসে খুব সহজেই ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে ইনকাম করতে সক্ষম হবে। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এ কাজ করতে গেলে প্রথমে আপনাকে HTML, CSS, JavaScript এবং আরও অনেক কিছুর মতো বিষয়গুলিকে জানতে হবে ৷ আর এগুলো জানার জন্য আপনাকে একটি কোর্স করতে হবে। শিখা শেষে আপনি Upwork, Freelancer.com এবং Fiverr -এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে কাজ নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে খুব সহজেই বাসায় বসে ইনকাম করতে পারবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধুমাত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পোষ্টার ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং বিজ্ঞাপন, বিজনেস কার্ড, ইনভেলপসহ হাজারো কাজে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আপনি যদি মাসে ২৫০০০ টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আপনার অবশ্যই থাকতে হবে তিনটি গুন:
  • ডিজাইনে দক্ষ হতে হবে
  • ক্রিয়েটিভ ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা
  • ধৈর্য্য শক্তি এবং পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সাধারনত যে সকল ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রচলিত কয়েকটি নিম্নে তুলে ধরা হলো:
  • ইমেজ এডিটিং
  • লোগো ক্রিয়েট করা
  • ভিজিটিং কার্ড
  • বিজ্ঞাপন তৈরি
  • ব্রশিয়ার তৈরিকরণ
  • পত্রিকার কাজ
  • বিজসে কার্ড তৈরি
  • বিলবোর্ড ডিজাইন
  • লেআউট
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ক্যালেন্ডার তৈরি
  • ম্যাগাজিন ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ঘরে বসে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবে। ওয়েবসাইট ডিজাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে সক্ষম হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডিজাইনের আন্তর্জাতিক মার্কেট যথেষ্ট বড়। আপওয়ার্ক কিংবা গুরু ডট কমের মতো প্লাটফর্মগুলোতে কাজ খুঁজে নিতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ওয়েব ডিজাইনাররা সবচেয়ে বেশি উপার্জন করতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ওয়েব ডিজাইনারের কাজ আলাদা হয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে-
  • ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া ও পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা।
  • ওয়েবপেইজ, ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশনের প্রাথমিক লেআউট তৈরি করা।
  • প্রজেক্টের জন্য গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন কিংবা ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ডিজাইন করা।
  • ক্লায়েন্টের কাছে প্রাথমিক ডিজাইন উপস্থাপন করা।
  • প্রয়োজনীয় কোড লেখা।
  • দরকার হলে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে কাজ করা।
অ্যাপ ডেভলপমেন্ট

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের কোম্পানির মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে থাকে তাই আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে থাকেন, তাহলে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইটগুলোতে 
আপনার পোর্টফোলিও শেয়ার করতে পারেন এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ পেতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে এই কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে।মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে একজন অভিজ্ঞ App developer এবং Designer হয়ে উঠতে হবে।

প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে টাকা আয়

বর্তমানে অনলাইনে সবাই শপিং করতে চায়। কারণ অনলাইনে স্বল্প দামের মধ্যে পছন্দের জিনিসগুলো পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে কিছু ভিন্ন কোয়ালিটির জিনিস থাকে। তাই আপনি বড় বড় শপিং সাইটগুলো থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে সেইগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। এই কাজটি করেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্টের প্রয়োজন নেই আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন তাতেই আপনি কমিশন পাবেন।

অনুবাদ করে আয়

ঘরে বসে আয় করার একটি নতুন ও সঠিক উপায় হলো অনুবাদ করা। এক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি ভাষার উপর ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে অনলাইনে অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। একজন 'অনুবাদক' হিসেবে পেশা বেছে নেওয়া আজকাল চ্যালেঞ্জিং হলেও পূর্ণ-সময়ের পেশাদার অনুবাদকের অভাবের কারণে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। 

অনেকের মনে হতে পারে যে তারা অনুবাদক হিসাবে কাজ করতে পারে যদি তাদের দুটি ভাষায় ভাল কমান্ড থাকে। আসলে, দুটি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি কিছু বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন। প্রথমত, 'উৎস ভাষা' বা যে ভাষা থেকে কেউ অনুবাদ করতে চায়, সেটি খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি সেই ভাষার উপর যেকোন উপলব্ধ কোর্স নিতে পারেন। 

আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পাঠ্য অনুবাদ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার সেই শৃঙ্খলায় ব্যবহৃত পদ এবং পরিভাষাগুলি ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করা উচিত।টকম্পিউটার দক্ষতার সাথে ভাষার দক্ষতা, টাইপ করার গতি, অনুবাদের টুল ব্যবহার করার ক্ষমতা অপরিহার্য। 

একটি শক্তিশালী খ্যাতি তৈরি করা, উচ্চ-মানের কাজ বজায় রাখা, সময়সীমা পূরণ করা এবং ক্রমাগত আপনার ভাষা এবং অনুবাদ দক্ষতা উন্নত করা অনুবাদ শিল্পে সফল হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেটওয়ার্কিং এবং নিজেকে কার্যকরভাবে বিপণন আরও ক্লায়েন্ট এবং সুযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে।

অনলাইনে পাঠদান

আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনি সেটি অনলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। ভালো ইন্টারনেট সংযোগ, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও সঠিক যোগাযোগের দক্ষতা থাকলেই, একজন দক্ষ অনলাইন শিক্ষক হয়ে ওঠা যায়। এখানে আপনাকে বেশি অর্থ বিনিয়োগেরও প্রয়োজন হয় না, এমনকি আপনি আপনার পড়ানোর কাজ ঘরে বসেই বিনা বাধায় করতে পারবেন। 
বাংলাদেশ ইন্সট্রাক্টরি নামে একটা সাইট আছে, সেখানে শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন কোর্স সেল করে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি শিক্ষকতা করতে পারেন। এখন আপনি নবম-দশম শ্রেণীর একটা বিষয়ের সবগুলা ইউনিটের ভিডিও লেকচার রেকর্ড করবেন। এরপর ইনস্ট্রাক্টরি ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করবেন। ওরা যদি মনে করে আপনার ভিডিও লেকচার গুলো ভালো সেল হবে, তাহলে ওরা আপনার কাছ থেকে এটা কিনে নিবে । এতে আপনার অনেক আয় হবে ।

রিভিউ করে ইনকাম

বর্তমানে রিভিউ করার কাজটি খুবই জনপ্রিয়। আপনি যেকোনো বিষয়ে রিভিউ করতে পারেন। অনলাইনে যেকোনো কোম্পানির রিভিউ করতে পারেন। অথবা অ্যাপ ওয়েবসাইট review করতে পারেন। বিভিন্ন গেজেট রিভিউ করতে পারেন। এই সকল রিভিউ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টিফিন সার্ভিস

মেয়েদের আরেকটি ইনকামের পথ হচ্ছে টিফিন সার্ভিস। আপনি যদি একজন রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং মজাদার রান্না করতে পারেন তাহলে টিফিন সার্ভিস এর কাজটি আপনার জন্য বাড়িতে বসে রোজগার করার দুর্দান্ত উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আপনি নিজের একটি হোম ডেলিভারী ভিত্তিক টিফিন সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় হিসেবে টিফিন সার্ভিস ব্যবসা অধিক লাভজনক হতে পারে। নিজে রান্না করে সেই রান্না করা খাবার কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেন তাহলে আপনি একদিনে কম করে দশ জায়গাতেও খাবার ডেলিভারি করতে পারবেন তাহলেও আপনি সেখান থেকে অনায়াসেইদিনে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা রোজগার করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট

গ্রাফিক্সে দক্ষ বা লেখালেখিতে অথবা ছবি এডিটিং এ আছে বিশেষ দক্ষতা এ রকম বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রয়োজন হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর। বিভিন্ন জব মার্কেট প্লেসগুলো থেকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ খুজে নেয়া যায় । অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন। 

এই কাজের জন্য আপনার অনেক দক্ষতার প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু শব্দ প্রক্রিয়াকরণ জ্ঞান, মৌখিক যোগাযোগ, লেখার অনুশীলন এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই কাজের সুবিধা হলো, বাড়িতে বসে পার্ট টাইম কাজ করা যায় এবং একসাথে একাধিক ক্লায়েন্ট এর কাজ করা যায়। আপনি ২০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

বেকারি ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থেকেই বেকারি ব্যবসা করে অনেক স্বাবলম্বী হচ্ছে। আপনি চাইলেই অনলাইন অফলাইন দুটো ভাবেই বেকারি ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য লোকেরা বাড়িতে বানানো কেক এবং অন্যান্য জিনিসগুলো অর্ডার করতে পছন্দ করেন। আপনি একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খুলে সেখানে কাস্টমারদের থেকে অর্ডার নিতে পারবেন এবং পণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারবেন।

ব্লগিং

ব্লগিং করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি যদি নিজের ওয়েবসাইট থেকে থাকে তবে ব্লগিং করার মাধ্যমে চাইলে ঘরে বসে খুব সহজে ভালো পরিমাণ অ্যামাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে সহজে টাকা ইনকাম করার যতগুলো চ্যানেল

আইডিয়া রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি আইডিয়া। ব্লগিং এর একটি বড় সুবিধা হলো আপনি যদি প্রতিদিন এই কাজের পিছনে দুই থেকে চার ঘন্টা সময় দেন সেটাই যথেষ্ট। ফলে আপনার অন্যান্য কাজের সময় নষ্ট করতে হবে না। ব্লগিং আপনি যেকোনো জায়গা থেকে শুরু করতে পারেন। 

বাংলাদেশ কিংবা ভারতে অনলাইনে টাকা আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ব্লগিং। প্রথমে আপনাকে WordPress অথবা Blogger যেকোনো একটি platform ব্যবহার করে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না। 

মাত্র ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ করেই আপনি একটি ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ এবং ডোমেইন নাম ক্রয় করতে পারবেন। যখন ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে একটি ব্লগ তৈরি করা হয়ে যাবে, তখন আপনার ব্লগে নিয়মিত ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। ব্লগিং করে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন, 

সেটা সসম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কাজের ওপর। আপনি প্রতিদিন কিরকম সময় ও শ্রম দিচ্ছেন এবং ভালো মানের আর্টিকেল ব্লগে পাবলিশ করছেন কিনা এসবের উপর নির্ভর করে মাসিক ইনকাম। বাংলাদেশ অনেক প্রফেশনাল ব্লগার রয়েছেন, যারা কেবল ব্লগিং এর মাধ্যমে মাসিক ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

ইউটিউবিং

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় আয় করার উপায় হল ইউটিউবিং। ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খোলার মাধ্যমে এবং ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে, নতুন নতুন ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে এবং Viewers এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। 

ইউটিউবার-রা তাদের ইউটিউব চ্যানেলকে জনপ্রিয় করতে এবং ইউটিউবকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে বছরের পর বছর শ্রম দিয়েছেন। বিভিন্নভাবে চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০ Subscribers থাকবে, তখন Google AdSense এ Register করতে পারবেন এবং ভিডিওতে বিজ্ঞাপন (ads) দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন Product promotion এবং Sponsorship এর মাধ্যমে Channel থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তাই মসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করার জন্য এই আইডিয়াটি আপনারা সিলেক্ট করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং জব

বর্তমানে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা খুব সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি জনপ্রিয়। কাজেই আপনি ইচ্ছা করলেই আর্টিকেল লিখে খুব সহজে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবে।আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট নিশ বা টপিকের উপর দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হন, তাহলে আপনি অধিক আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার কাজ শুরু করতে পারবেন এবং অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 
কনটেন্ট রাইটিং এর দ্বারা আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন, এটা নির্ভর করে আপনি কত ভালো মানের কনটেন্ট আপনার ক্লায়েন্টদের Provide করতে পারবেন। আপনার কাছে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই এই কাজ আপনি করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি বিনিয়োগ করার জন্য অর্থ থাকে, তাহলে একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। 

যেখানে কনটেন্ট লিখে বিভিন্ন মনিটাইজেশন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি বাংলাদেশের অথবা পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকুন না কেন আপনি খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম

বিউটি পার্লারের সাজ ছাড়া তো নারীদের এখন চলেই না। যে কোনো উপলক্ষ বা অনুষ্ঠানে বিউটি পার্লারের সাজ চাই। মেয়েদের রূপচর্চার প্রতি আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আপনিও নেমে পড়তে পারেন এ ব্যবসায়। খুলতে পারেন কোনো বিউটি পার্লার। নারীরা ঘরে বসেই বিউটি পার্লারের ব্যবসা দিয়ে খুব সহজে টাকা আয় করতে সক্ষম হচ্ছে। 

আর বিউটি পার্লারের ব্যবসা খুব লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি। কাজেই নারীরা ঘরে বসে খুব সহজে বিউটি পার্লারের ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবে। বিউটি পার্লারকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একজন বিউটি পার্লার মালিক বা বিউটিশিয়ানকে পেশাগতভাবে দক্ষ হতে হতে হবে। 

এ জন্য চাইলে তিনি বিউটিশিয়ান কোর্স করে নিতে পারেন। ভালো কোনো শপিং মলে শুরু করতে পারেন বিউটি পার্লারের ব্যবসা। ব্যবসা শুরু করতে লাগবে ভালো মানের আসবাবপত্র যেমন চেয়ার, আয়না, হেয়ার স্পা মেশিন, হেয়ার রিকভারি মেশিন, ফেসিয়াল মেশিন, হেয়ার হিটার লাগবে। সেই সঙ্গে লাগবে ভালো মানের প্রসাধনী সামগ্রী। এখন আপনি শুরু করতে পারবেন বিউটি পার্লার ব্যবসা।

ফটোগ্রাফি করে 

আপনার শখ যদি শখের ফটোগ্রাফি টাকা ইনকাম করার। তবে আপনি আপনার শখের তোলা ছবিটিকে অনলাইনে বিক্রি করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারেন। বিশ্বের অনেক মানুষ তাঁদের তোলা ছবি তুলে অনলাইনে বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি শখের বসে ছবি তুলে থাকেন, আপনি চাইলে আপনার শখের ছবিটিকে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ফটো সেলিং ওয়েবসাইট হলো- Sutterstock, Freepik ইত্যাদি।

রান্নার ভিডিও

বর্তমানে মেয়েরা ঘরে বসে রান্না শেখানোর ভিডিও তৈরি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে।বাঙালিরা নিজে খেতে যেমন ভালোবাসে, তেমনই অন্যকে খাইয়েও আনন্দ পায়। ভোজনরসিকের তকমা তো এমনি এমনি মেলেনি। এটা নারীর মধ্যে বেশি প্রতিফলিত হয়। নিজের রান্নার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করতে এই আইডিয়াগুলি দেখে নিতে পারেন। 
  • হোম রেস্টুরেন্ট ও অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস: প্রাথমিক লক্ষ্য একটাই, পরিচালনার খরচ বাঁচাতে কাস্টমারদের বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া। খাবারের অনলাইন ডেলিভারি দেয় এমন অনেক কোম্পানি আছে এখন। যারা খাবারের তালিকা করে, প্রচার করে ও বিজনেসের মার্কেটিং ও সেলসের বিষয়টি সামাল দিয়ে কাস্টমারের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে অর্ডার নেয়া হবে, আপনি অর্ডারটি রান্না করবেন ও তারা নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে সেই খাবার কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেবে।
  • অনলাইনে রান্না শেখানো: নিজের রান্নার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা এখন খুব বেশি কঠিন না। নতুন ও উদ্ভাবনামূলক ক্লাস বানিয়ে অন্যদের আপনার রেসিপি ও রান্নার পদ্ধতি শেখাতে পারেন।কাজটি প্রথমে ইউটিউবে ও পরে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে কিংবা নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানেও করতে পারেন। এর জন্য একটি ভালো মানের ক্যামেরা বা মোবাইল ও মাইক্রোফোন দরকার হবে যাতে যে খাবারগুলি বানাতে শেখাচ্ছেন তা ভালোভাবে রেকর্ড করা যায়।
  • ইউটিউবে রান্নার চ্যানেল খোলা: ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট প্রকাশের জন্য বেশ কার্যকর দুটি মাধ্যম। রান্নায় পারদর্শী হলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলুন ও ভিডিও বানানো শুরু করুন। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস থাকলে লাইভস্ট্রিম করতে পারেন, এতে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে দিতে পারবেন। ইউটিউবের একটি সফল রান্নার চ্যানেল থেকে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়। মন কন্টেন্ট বানান যা দর্শকদের ভালো লাগবে। যেমন, সহজ রেসিপির ছোট ভিডিও, কম বাজেটের মধ্যে রান্নার টিপস, স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো ও পার্টি বা ইভেন্টের জন্য কীভাবে খাবার বানাতে হবে ইত্যাদি।
দর্জি কাজ

বর্তমান সময়ে বাসায় বসে আয়ের আরেকটি মাধ্যম হতে পারে দর্জির কাজ করে আয় করা। আপনার যদি দর্জি কাজের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে দর্জি কাজ করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন জায়গায় দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি দর্জি কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

টি-শার্ট ডিজাইন

অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে টি-শার্ট ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি তাই যদি আপনি ভালো মানের ডিজাইন করতে পারেন তাহলে টি-শার্ট ডিজাইন এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি নিজের টি-শার্ট মত বিভিন্ন রকমের গেঞ্জি ঘরে বসে ডিজাইন করে সেগুলোকে অনলাইনে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি ইন্টারনেটের পি ও ডি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজাইন বিক্রি করে সহজে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

অনলাইন কোর্স তৈরি

আপনি যদি কোনো বিষয়ে জানেন, তাহলে অনলাইন কোর্স তৈরি করে আয় করতে পারেন। নিজের একটি কোর্স তৈরি করে সেটিকে অনলাইনে বিক্রি করে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার এই উপায়টি, অনেকের জন্যই একটি লাইফ চেঞ্জিং সুযোগ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। যেকোনো টপিক সম্পূর্ণ Details সহকারে ব্যাখ্যা করে আপনি নিজের ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং ১০ থেকে ২০ টি ভিডিও এর মাধ্যমে পুরো টপিক শেষ করতে পারেন। 
আপনি অনলাইন কোর্স তৈরীতে যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে কোর্সের জন্য একটি Website তৈরি করতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনার কোর্সগুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক কোর্সগুলোর চাহিদা প্রচুর।কোর্সের টপিকের উপর নির্ভরশীল করে আপনি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

ফিনান্সিয়াল কনসাল্টিং

আপনি ফিনান্সিয়াল কনসাল্টিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনার ফিনান্সিয়াল বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে। আপনি যে বিষয়ে সব থেকে বেশি এক্সপার্ট ওই বিষয়ে কাজ করে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে যদি সকল বিষয়ে কাজ করতে চান তাহলে এটি ভালো হবে না। তাই যেকোনো একটি বিষয়ে আপনাকে প্রথমে এক্সপার্ট হতে হবে।

এসইও

এসইও এর পূর্ণ শব্দ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট বা যেকোনো প্রোফাইল ভালো অবস্থানে পাওয়ার জন্য যে কাজ করা হয় তাকে বলা হয় এসইও। অনেক কোম্পানি রয়েছে তারা নিজেদের কোম্পানি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য এসইও এক্সপার্ট দের কে হায়ার করে থাকে আর 

আপনি যদি এসইওর কাজ ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি এসইও করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন এসইও এক্সপার্ট এর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।

কোডিং

আপনি যদি কোডিং জেনে থাকেন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কোডিং এর কাজ করে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কোডিং ও প্রোগ্রামিংয়ের জগতে আপনি অভিজ্ঞ হোন বা নতুন, চাইলেই কিন্তু বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এসব চ্যালেঞ্জ ও কনটেস্টে আপনার দক্ষতার পরিমাপের পাশাপাশি মোটা অংকের অর্থ আয়ের একটি সুযোগ থাকে। র্তমানে ইন্টারনেটে অনেক কোডিং চ্যালেজ ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে কোডিং চ্যালেঞ্জ জিতে বা নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করে পুরস্কার হিসেবে অর্থ পাওয়া যায়।

ডাটা এন্ট্রি

আপনারা চাইলে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, স্প্রেডশিটের মতো সফটওয়্যার গুলোতে ভালো দক্ষতা এবং ইংরেজিতে ভালো দখল থাকলে যে কেউই এই সেক্টরে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে। সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা এই চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না।এটি শিখে আপনি নিশ্চিত অনলাইন থেকে বাড়িতে বসে উপার্জন করতে পারবেন। যেসব কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন:
  • কপি এবং পেস্ট কাজ
  • ডাটা ক্লিনিং জবস
  • অডিও টু টেক্সট রাইটস জব
  • ওয়ার্ড প্রসেসরের চাকরি
  • অনলাইন ফরম পূরণের কাজ
  • ডাটাবেজ আপডেটের কাজ।
  • অনলাইন শিক্ষকতা ও টিচিং
আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনি সেটি অনলাইনে শিক্ষকতা ও টিচিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি আপনার শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় অনলাইনের মাধ্যমে পড়াতে পারেন। আপনি যাদের ব্যক্তিগতভাবে জানেন বা

চিনেন, তাদেরকে দিয়ে আপনার অনলাইন টিচিং কার্যক্রম শুরু করতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন। একজন জনপ্রিয় Online Teacher হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে, আপনি এর থেকে সীমাহীন অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এআই এর মাধ্যমে

এআই এর মাধ্যমে টাকা আয় করা বর্তমানে বেশি প্রচারিত হচ্ছে। বর্তমানে এ আই টুলস এর কাজ শিখে অনেক টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এআই দিয়ে বিভিন্ন কিছু তৈরি করা সম্ভব এই ধরুন ফটো এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি সকল কাজগুলো এ আই এর মাধ্যমে খুব সহজে করা সম্ভব। এই কাজগুলো শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতে হবে।

ট্রান্সলেটর কাজ

আপনাদের কারো যদি আন্তর্জাতিক ভাষা অথবা নির্দিষ্ট কোন ভাষায় দক্ষতা থেকে থাকে। তাহলে আপনারা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রান্সলেশন পরিষেবা দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। দোভাষী এবং অনুবাদকদের জন্য এই পেশাটি বেছে নেওয়া অত্যন্ত লাভজনক। অনুবাদকদের জন্য সাধারণত বেতন খুব বেশি। 

আপনি কত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন এটা আপনার ভাষা, পটভূমি জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।আপনি ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইভার ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে Translation লিখে সার্চ করলে এই রিলেটেড অনেকগুলো কাজ (job) সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনি ট্রান্সলেটর এর কাজ করে ১০ থেকে ৫০ হাজার প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে বিভিন্ন কাজের ভিডিও এডিট এর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য সৃজনশীল ভিডিও বানিয়ে থাকে। আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি এডিটিং করতে পারেন। যেমন-
  • ক্যামটাসিয়া (Camtasia), 
  • ব্ল্যান্ডার (Blender), 
  • নেরো ভিডিও (Nero Video),
  • মোভাভি ভিডিও এডিট প্লাস (Movavi Video Edito Plus),
  • এডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe Premier Pro),
  • আই মুভি (iMovie),
  • ক্যামটাসিয়া (Camtasia),
  • ক্যামটাসিয়া (Camtasia),
  • ওপেনশট (Openshot), 
  • শর্টকাট (Shotcut) ইত্যাদি।
আপনি বিভিন্ন উপায়ে ভিডিও এডিটিং করে অর্থ আয় করতে পারেন। সেগুলো হলো:
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
  • বিবাহ ভিডিও ফুটেজ এডিটিং
  • ভিডিও এডিটিং কোর্স
  • ব্লগ এডিটিং
  • শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি
  • ইউটিউবারদের ভিডিও এডিটিং
  • বিজ্ঞাপন এডিটিং
  • ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়
ফেসবুকে এসব কাজে সময় ব্যয় না করে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ফেসবুক থেকেই প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হাজার হাজার লোকেরা আপনার গ্রুপে যুক্ত হয়ে যাবে তখন এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ই-কমার্স পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি ফেসবুকে ভিডিও তৈরী করে সেই ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ই-কমার্স ব্যবসা করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে আরো একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হল ই-কমার্স ব্যবসা। আপনি যাবতীয় আপনার ব্যবসায়ীর বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন। মানুষ যেগুলোকে পছন্দ করে তার চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার করবে এবং আপনি টাকার বিনিময়ে সেগুলোকে তাদের কাছে পৌঁছে দিবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক তরুণ তরুণী উপার্জন করছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

Affiliate marketing হলো বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি উপায়। এফিলিয়েট প্রোগ্রামে registration করার পর আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারবেন। তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করতে হবে। 

প্রতিটি সেলের জন্য আপনি ২-৫% কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কমিশনের পরিমাণ প্রোডাক্টের মূল্যের উপর নির্ভরশীল। যখন আপনার Visitors বা Audience সেই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্টটি কিনবে, তখন আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন। আপনি চাইলে প্রোডাক্টের সেল বাড়ানোর জন্য সুন্দর Product description লিখতে পারেন।

নিউজ সাইট বানিয়ে বিক্রি

অনেকে আছে যারা কিনা নিউজ রিলেটেড ওয়েব সাইট কিনে থাকে। আপনি যদি এজন ওয়েব সাইট ডেভলোপমেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে বানিয়ে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেকে নিউজ সাইট বানিয়ে মাসে ৫০ হাকার টাকা থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতেছে। এসব কাজ করে আপনিও মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

সার্ভে করে

ফিটব্যক জানার জন্য অন্যান্য দেশে অনলাইন সার্ভে করে থাকে। এই সার্ভে করে থাকে বিভিন্ন কম্পানি অনলাইনের মাধ্যমে। এই সার্ভে কাজটি করার জন্য প্রয়োজন অসংখ্য মানুষ। আপনি অনলাইনে অসংখ্য মানুষ পাবেন। আপনি এই কাজটি বংলাদেশে বসে করতে পারবেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশে
ঘরে বসে অনলাইন থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে সার্ভে করে অসংখ্য মানুষ ইনকাম করতেছে। এই সার্ভে করে ইনকাম এটি নতুন কিছু নয়। আপনি চাইলে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করতে পারেন।

গেমস খেলার মাধ্যমে

গেম খেলার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সবার চেয়ে সেরা।বর্তমানে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। Facebook, Youtube, Instagram এই সকল প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে গেম খেলে ভিডিও তৈরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এজন্য অনলাইন প্লাটফর্ম আপনাকে বেছে নিতে হবে।

ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয়

বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সাথে Instagram হল অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। যদিও প্ল্যাটফর্মটি ফটো শেয়ার করতে এবং বন্ধুদের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি অর্থ উপার্জনের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।


ইনস্টাগ্রাম থেকে অর্থ উপার্জন করার অনেক উপায় রয়েছে, পণ্য এবং পরিষেবার প্রচার থেকে, ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করা, আপনার নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করা। এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে ইনস্টাগ্রাম থেকে কীভাবে অর্থোপার্জন করতে পারি তার একটি সম্পূর্ণ গাইড দেব।

একবার আপনার ইনস্টাগ্রামে আরও ফলোয়ার হয়ে গেলে, আপনি পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। আপনার প্রিয় পণ্যের ফটো বা ভিডিও পোস্ট করে এবং ক্যাপশনে ব্র্যান্ড ট্যাগ করে এটি করা যেতে পারে। আপনি আপনার বায়োতে পণ্যটির একটি লিঙ্কও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। 

আপনার নিজের পণ্য বা পরিষেবা থাকলে, আপনি সেগুলি বিক্রি করতে Instagram ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার পণ্যের ফটো বা ভিডিও পোস্ট করে এবং ক্যাপশনে আপনার ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোরের একটি লিঙ্ক সহ করা যেতে পারে। ইনস্টাগ্রামে অর্থোপার্জনের জন্য আপনি যে পদ্ধতিটি বেছে নিন না কেন, নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার পদ্ধতিতে সৃজনশীল এবং কৌশলী। এছাড়াও, ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচার করার সময় তার সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ করতে ভুলবেন না।

লেখকের শেষ কথা

বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ ৩২ টি উপায় সম্পর্কে জানালাম। এখন আপনার কাজ হল আপনি কোন কাজটি অনলাইনে করতে চান সেটি নির্বাচন করা। ইউটিউব, গুগলে সেই বিষয় নিয়ে ভালো করে রিসার্চ করুন এবং সেই সম্পর্কে ভালো করে জানুন। আপনি অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন উপরের যেকোনো কাজ করেই।

এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবসময় aminulit.com এর  সাথে থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url