মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায়

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন? দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে নিয়মগুলো মেনে চললে খুব সহজে দ্রুত ওজন কমে। তাছাড়া দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।


এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন- গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে এরকম গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য জানতে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায়

.
শরীর সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরের নিজস্ব ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং নানা ধরনের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওজন কমাতে গেলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে এবং এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। 

কিছু পরামর্শ মেনে চললে ওজন বেশ খানিকটা কমতে বাধ্য। তবে এ কথাও ঠিক, যদি একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে সেই পরামর্শ মেনে চলেন তাহলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আপনি চাইলেই কিন্তু আপনি মাত্র এক মাস অর্থাৎ ৪ সপ্তাহেই কমাতে পারবেন পেট ও কোমরের জেদি চর্বি। শুধু ভুঁড়ি নয়, পুরো শরীরের ওজন কমাতে পারবেন আপনি কয়েকটি নিয়ম মেনেই। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায়।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায়

অতিরিক্ত কোনো কিছুই যেমন ভালো না, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ওজনও ভালো না। অতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন রোগের শঙ্কা। গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিকভাবে ফিট মেয়েদের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মেয়েদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৬৬ শতাংশ। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক মেয়ের শারীরিক, মানসিক ও হরমোনজনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


মেয়েদের ওজন কমানোর কয়েকটি উপায়ের মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া করা, হাশিখুশি থাকা, শরীরের যত্ন নেওয়া এবং ব্যায়াম করা। প্রথমেই, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনে যে খাদ্যতালিকা তৈরি করবেন, সেখানে অবশ্যই পরিমাণমতো কার্বোহাইড্রেট, ফল, সবজি থাকতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট মেনে চলা খুব জরুরি। 
যদি ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট মেনে না চলেন, তাহলে ওজন কমাতে সহায়ক হবে না। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং পুরুষদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় একই। মেয়ে এবং পুরুষেরা দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করলে শরীরের অতিরিক্ত ওজনের মত সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাবেন। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিছু সহজ উপায় আছে। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

খাবার নিয়ন্ত্রণ

মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য খাদ্যপদার্থ সঠিক হতে হবে। আপনার খাবারের পরিমাণ এবং গুনগত মান নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনার খাদ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর তেল সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যেমন ফল, সবজি, প্রোটিন, গোলা ধান, মাংস, মাছ, ডেয়রি প্রোডাক্ট, ওটস, নাটস, এবং সুস্থ চর্বি।

ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজন কমাতে ডায়েটের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই কিছু ব্যায়াম করতে হবে। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করা একটা ভালো ব্যায়াম। সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ ব্যায়াম হলো হাঁটাহাঁটি করা। এটি শরীরের চাহিদার তুলনায় কম ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা অথবা ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি বার্ন করে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

জগিং এবং দৌড়ানো পেটের মেদ কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি দৈনিক ৩-৪ দিন প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট করা যেতে পারে। সাইক্লিং ওজন কমানোর জন্য ভালো একটি ব্যায়াম। এটি দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালরি বার্ন করে এবং বডি ফিটনেস বাড়াতে সহায়ক। এছাড়াও আপনি যোগাযোগ ব্যায়াম, স্বিমিং, যোগা, ড্যান্সিং, এবং ওয়াকিং এই ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন।

গ্রিন টি

মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির মতো গ্রিন টি যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখে। গ্রিন টিতে ক্যাফিনের মাত্রা কম থাকে কিন্তু ক্যাটেচিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যাফেইনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করে এবং দ্রুত শরীর থেকে চর্বি ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। গ্রিন টি প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কাপ পান করলে সর্বাধিক উপকার পেতে পারে।

প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর একটি সেরা উপায় হল কিছু প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা। এটি প্রোবায়োটিক সম্পূরক গ্রহণ ওজন হ্রাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।প্রোবায়োটিক হল উন্নত খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট যাতে থাকে জীবন্ত অণুজীব, যা পরিপাকতন্ত্রে স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল ব্যাকটেরিয়াকে বৃদ্ধি করার জন্য খাওয়া হয়। 
যেমন- দইতে রয়েছে ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামে এক ধরনের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে থাকা ফ্লোরাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিকের অন্যান্য উৎস হল বিট, বাঁধাকপি এবং সয়া। ক্যাপসুল, ট্যাবলেট, পাউডার, লিকুইডস বা লিকুইড ড্রপের আকারে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও নেওয়া যেতে পারে।

পরিশ্রম

ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পরিশ্রম করা। আর তাই পরিশ্রম না করে সারাদিন বেকার বসে থাকবেন না এতে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে তাই পরিবারের ছোট খাটো কাজগুলো করতে পারেন এতে আপনার শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করবে এবং ওজন কমবে।

পানি পান করা

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে খাওয়ার আগে পানি পান করা। অনেক মেয়েই পানি পান করতে চান না। এ জন্য তারা ডিহাইড্রেশনে ভুগে থাকেন। পরিমানমত এবং পরিমিত পানি পান কারার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ক্যালরি ঝরাতে সহায়তা করে।

ঔষধ সেবন

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে যা দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে কিন্তু এই ধরনের ঔষধ ব্যবহারে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই এই গুলো সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। ঔষধ সেবনের ফলে হজম শক্তি উন্নতি করে, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরের চর্বি কমায় সেই সাথে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
এই উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ঘোরানো, অনিদ্রা এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি প্রভৃতি। তবে সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ না করলে প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে।আর তাই এই গুলো সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন।

রোজা

রোজা হলো একটি না খাওয়ার প্রক্রিয়া, যেখানে খাওয়ার একটি চক্র অনুশীলন করতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিরতিহীন রোজা রাখার চেষ্টা করেছেন, তারা ওজন কমাতে সফল হয়েছেন। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে রোজা রাখতে পারেন। এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্ট্রেস ম্যানেজ করা

স্ট্রেস ওজন বাড়ানোর একটি মৌলিক কারণ হতে পারে। মেডিটেশন, যোগাসন, ব্যায়াম, এবং সময় পরিচালনা করার মাধ্যমে স্ট্রেস ম্যানেজ করুন। এতে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে।

লেবু পানি

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে শুধু লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে এই কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে চর্বি ঝরে গিয়ে আপনাকে স্লিম বানাতে সহায়তা করবে।

খেজুর

উচ্চ ক্যালোরির ডায়েটে বিশেষ কাজে আসে খেজুর। এতে ক্যালোরি খুব বেশি ও সহজে পেট ভরে বলে ক্ষুধা কম লাগে। কয়েকটা খেজুর অনেক ক্ষণ খিদে কমিয়ে রাখতে পারে। তাই প্রতিদিন ৪-৫টা খেজুর রাখুন পাতে। এতে ওজন কমবে।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক

স্ন্যাক সময় করে খান কিন্তু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক নিশ্চিত করুন। উদাহরণস্বরূপ ফ্রুট, নাটস, যোগাসন বার, যোগাসন ডেয়রি প্রোডাক্ট এবং স্বাস্থ্যকর নাটস স্ন্যাক হতে পারে। এ খাবার গুলো আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্যকর প্রোটিন

প্রোটিন ওজন কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক খাবার, মাংস, ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবার প্রোটিনের এটা ভালো উৎস। উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত ডায়েট কোনও ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ বোধ করাতে এবং তৃষ্ণা মেটাতে পারে। প্রোটিন খুব ধীরগতিতে ওজন বৃদ্ধি করে এবং মহিলাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কালো কফি

অনেক মেয়েই চিনিযুক্ত কফি খেতে পছন্দ করেন, যা অতিরিক্ত ওজন হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এ জন্য তারা এসব কফি পরিহার করে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। কালো কফির ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিড শরীরে গ্লুকোজ এবং ফ্যাট সেল গঠন পিছিয়ে দেয়। ক্যাফেইন কার্যকরীভাবে খিদে কমাতে সাহায্য করে।

কাজুবাদাম

খারাপ কোলেস্টেরলকে ভালো কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করে এই কাজুবাদাম। শরীরের প্রয়োজনীয় তেলের জোগানও কিছুটা মিটিয়ে দিতে পারে কাজুবাদাম। তাই ৪-৫টা কাজুবাদাম রাখুন ডায়েটে। নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আঁশযুক্ত খাবার

অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার গুলো হলো কলমি শাক, পুদিনা পাতা, পুঁইশাক, মুলা শাক, ডাঁটা শাক, লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার আগা-ডোগা শাকে প্রচুর আঁশ রয়েছে। এসব খাবার পানি ও তেল শোষণ করে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।

ভালো ঘুম 

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা হল মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম ৷ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন এর বেশিও শরীরের জন্য ভালো না কমও শরীরের জন্য খারাপ । তাই দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে মহিলাদের অবশ্যই ভালো ডায়েট এবং ব্যায়ামের পাশাপাশি ভালো ঘুমের উপর জোর দিতে হবে।

ডিম খাওয়া

নিয়মিত খাদ্য তালিকায় দুইটি করে সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। ডিমে বিদ্যমান ক্যালরি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও শরীরে মেদ জমতে পারে। আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগি, তখন আমাদের শরীরে ‘কর্টিসল’ নামের একটি হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে।
মেদ কমাতে তাই মানসিক চাপকে সময়মতো ও সঠিকভাবে মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পছন্দের কাজ করা, মেডিটেশন ও প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মানসিক চাপকে মোকাবেলা করতে হবে।

কিশমিশ

স্বাদে মিষ্টি বলে অনেকে ফ্যাট আসার ভয়ে এই খাবারকে সরিয়ে রাখেন। আসলে চর্বি কমাতে এর ভূমিকা অসীম। কিশমিশ খেলেই শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটতে শুরু করে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের হারকে কিছুটা কমায়। এ ছাড়া এতে ‘গাবা’ নামক শক্তিশালী নিউরোট্রান্সমিটার থাকায় তা খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ওজন কমাতে প্রতিদিন কিশমিশও রাখুন ৩-৪টি।

খাবারের তালিকায় যেসব খাবার রাখা যাবেনা

পেটের অতিরিক্ত চর্বি হচ্ছে রোগের বাসা। তাই সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ফেলতে হবে। শুধু খাবার খেয়ে ওজন কমানোর কথা ভাবলে হবে না। পাশাপাশি আপনাকে খাবারের তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে তবেই আপনার ওজন কমানো সম্ভাব। যে খাবার গুলো বাদ দিতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • বার্গার
  • চিপস
  • ভাত, সাদা আটা–ময়দা
  • চকলেট
  • আইসক্রিম
  • ফাস্ট ফুড
  • সোডা
  • চিনি, এমন ড্রিংক যেটাতে চিনি আছে
  • অস্বাস্থ্যকর তেল, চর্বি
  • কেক, ডোনাট
আপনি যদি চার সপ্তাহ খাবারগুলো না খেয়ে থাকতে পারেন, তাহলে আপনার শরীর ধীরে ধীরে এসব খাবারের প্রতি ‘চাহিদা’ কমিয়ে দেবে। যতো কৌশলই থাকুক না কেনো দিনশেষে ওজন কমাতে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে আপনার নিজের ইচ্ছে এবং ধারাবাহিকতা। এই দুটো যত বেশি জিইয়ে থাকবে, ওজনও তত দ্রুত কমবে এবং আপনার নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। তাই ডায়েট, এক্সারসাইজ সবকিছুর সাথে নিজের মনের যত্নটাও জরুরী।

বর্তমানে মেয়েরা কেন তাদের ওজন কমাতে চায়

বর্তমানে মেয়েরা কেন তাদের ওজন কমাতে চায়? আমাদের সমাজে ওজন নিয়ে কারা সবচেয়ে বেশি হাস্যরসের স্বীকার হয় জানেন? একটু বেশি ওজনের মেয়েরা, যাদের সোজা বাংলায় ‘মোটা বা মোটি’ বলে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অনেক মেয়েই ওজন কমানোর মিশনে নেমে পরে। আবার নিজেদের আকর্ষণীয় ও ফিট রাখতেও মেয়েরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে মেয়েরা ওজন কমাতে চায়, যেমন- জয়েন্টের ব্যথা বা হাঁটু ব্যথা থেকে পরিত্রাণ, কিছু বিশেষ ক্যান্সার যা কেবল মহিলাদেরই হয়ে থাকে সেসবের হাত থেকে রক্ষা, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো, হার্ট এট্যাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচা, পিঠের ব্যথা কিংবা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি।

গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে

গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে? ওজন কমাতে অনেকের কাছেই পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি সকালে খালি পেটে লেবুপানি পান করা। বর্তমান সময়ে শরীরের ওজন বাড়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। নানা কারণেই বাড়তে পারে শরীরের ওজন। সবাই চান সহজ পদ্ধতি ও কম সময়ে ওজন কমাতে। সেক্ষেত্রে অনেকের কাছেই পরিচিত একটি পদ্ধতি কুসুম গরম পানিতে লেবু দিয়ে পান করা। কিন্তু এভাবে পানি পানে কি আসলেই ওজন কমে?
আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা বা কফি চাই। চা-কফি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে দিনের শুরু করতে পারেন লেবুপানি দিয়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে প্রথম কথা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা। কেউ যদি মনে করেন কেবল লেবুপানি পান করে ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন, সেটা সম্ভব নয়। 


সুষম খাবার, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি বিষয় মেনে চলার পাশাপাশি লেবুপানি পান করলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা সকালে চা বা কফির পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। সকালে নাশতা করার অন্তত ৩০ মিনিট আগে লেবুপানি পান করুন। 

এটি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে। আবার খালি পেটে লেবুপানি পান করলে ক্ষুধাও তুলনামূলক কম লাগে। ফলে খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমে। লেবুপানির সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিলে ক্ষুধা কম লাগে। খাওয়া কম হয়। এ কারণে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না। 

এভাবে শরীরে কম ক্যালরি প্রবেশ করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের অনেকেরই মিষ্টি জাতীয় শরবত, সফট ড্রিংকসের প্রতি আকর্ষণ থাকে। ওজন কমাতে চাইলে তখন এসব পানীয় পরিহার করে লেবুপানি পান করতে পারেন। এতে তৃষ্ণাও মিটবে, আবার শরীরে ক্যালরিও কম প্রবেশ করবে। 

লেবুপানি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের একটি অংশ। লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়। ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। ডাইউরেটিক ও ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও কাজ করে। লেবুপানি পান করে শরীরচর্চা করলে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়ে। এটি দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ২০টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার শরীরে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। আমি নিয়মিত আমার সাইটে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আপলোড করে থাকি। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার সাইটটি ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url