পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আজ আরো জানাবো পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা, পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা।


আজকের এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার জানা প্রয়োজন। এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা 

.
পেয়ারা একটু স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার। পেয়ার এতে প্রচুর পরমের ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ রয়েছে।আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগানিজ, ও পটাশিয়াম ।এবং পেয়ারাতে ক্যালোরি কম থাকে,এবং ফাইবার বেশি থাকে। পেয়ারা সব মৌসুমে পাওয়া যায়, যা খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

পেয়ারা ফল সবাই চেনেন। সারা বছর পাওয়া যায়, এমন একটি ফল পেয়ারা। আর বাজারের সহজলভ্য ফলের মধ্যে এটি একটি। পেয়ারার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে পেয়ারা। শুধু তাই নয়, এতে থাকা অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শরীরের নানাভাবে উপকার করে। 


বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে পেয়ারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পেয়ারায় ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ, বিশেষ করে ভিটামিন সি রয়েছে। একটি পেয়ারায় রয়েছে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। 
এতে আছে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা ভিটামিন সি–এর ভালো উৎস। জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল পেয়ারা। দেশি গাছের পাকা পেয়ারা সবার কাছে অতি পছন্দের। প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এখানে পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

পেয়ারা ভিটামিন C এর একটি সমৃদ্ধ ফল, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেতে হবে। এটি একটি পুষ্টিকর ফল। 
এটি ভিটামিন সি, ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি পাওয়া যায়। একশ’ গ্রাম পেয়ারায় দুইশ’ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে অর্থাৎ পেয়ারায় কমলার চেয়ে চারগুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। পেয়ারার খোসায় কমলার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এ ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে কমলার মানের চেয়েও পেয়ারার পুষ্টির মান বেশি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

খেতে মিষ্টি হলেও পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কম গ্লাইসেমিক সূচক চিনির মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে।

ঠান্ডা জনিত সমস্যা

পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি। যা আপনার শরীরে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করবে। খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কাঁচা পেয়ারা খেতে হবে

হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

পেয়ারা হৃদয়ের জন্যও উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। প্রচুর পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম পাওয়া যায়। পেয়ারা পাতার নির্যাসও হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।

স্ট্রেস দূর করে

স্ট্রেস দূর করতে দারুণ কাজ করে পেয়ারা। পেশি আর স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। চাপ কমায়, শক্তি বাড়ায়।

মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী

আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে পেয়ারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ পেয়ারা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। এই ফলে ভিটামিন সি ছাড়াও থাকে ভিটামিন বি ৩ এবং ভিটামিন বি ৬। এগুলো আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণেও দারুণভাবে কাজ করে।

রক্তস্বল্পতা দূর হয়

নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা দেহের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। যার কারনে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং অ্যানিমিয়া রোগ হতে বাঁচা যায়।

হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে

সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমের বিকল্প নেই। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, পেয়ারায় ক্যালোরি থাকে কম। যে কারণে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও একটি সহায়ক ফল হতে পারে পেয়ারা।

পিরিয়ডের ব্যথা নিরাময় করে

অনেক নারীর ক্ষেত্রেই পিরিয়ডের সময় অনেক পেটে ব্যথা হয়। এই সময় অনেকে ঔষধ খেয়ে ব্যথা কমাতে চায়। কিন্তু ঔষধ না খেয়ে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে তার রস খেতে পারেন। এতে মাসিকের ব্যথা থেকে দ্রুত উপশম পাবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী পেয়ারা। পেয়ারা কম ক্যালরির ফল হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সহায়ক। এতে থাকা আঁশ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই খাবারের বদলে পেয়ারা পাতার চা এবং পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

গর্ভবতী মায়ের জন্য

পেয়ারা গর্ভবতী মায়েদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারায় বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রতিহত করে।

চুলের যত্নে

নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬ রয়েছে। যার কারনে পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকায় মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভিটামিন বি সিক্স থাকার কারণে চুল লম্বা সিল্কি হয় ও চুলের ফলিকল ভালো থাকে

ত্বকের যত্ন

ত্বকের যত্নে পেয়ারা খুবই উপকারী একটি ফল।  পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে যা ত্বককে উজ্জ্বল এবং সুস্থ রাখে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পেয়েরা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে

পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আর এই এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায় এবং শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
চোখের যত্নে

পেয়ারায় ভিটামিন A রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক। আমাদের প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় পেয়ারা রাখা খুবই প্রয়োজ।যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ইনফেকশন প্রতিরোধ
 
পেয়ারা পাতা একট িখুবই উপকারী।  পেয়ারার পাতা এবং ফল উভয়ই জীবাণুরোধী এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী ধারণ করে, যা শরীরের বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

ব্লাডপ্রেসার কমাতে সাহায্য করে

পেয়ারা একটি পটামিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার । পেয়ার ফলটি খাওয়া শুরু করলে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে সোডিয়ামের মাত্রা খুব দ্রুত একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আর যখনই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে সোডিয়ামের মাত্রা একদম নিয়ন্ত্রণে আসে তখন আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসতে একদমই সময় লাগে না।

দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে

পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ারার রসে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি আছে যা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো করে। এছাড়াও পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে স্কার্ভি রোগ হয় না। প্রতিদিন পেয়ারা খেলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা

পেয়ারা স্বাদ এবং উপকারী বৈশিষ্ট্যের জন্যও পরিচিত। এটি পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে, এটি খাওয়ার যতটুকু উপকারিতা রয়েছে তার অসুবিধাগুলিও রয়েছে। যদিও পেয়ারা খাওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর, তবে কিছু মানুষের জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে পেয়ারার অপকারিতা জেনে রাখাও অত্যন্ত জরুরি। পেয়ারা খাওয়ার সম্ভাব্য কিছু অপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ

পেটের সমস্যাঃ পেয়ারা আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।

অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের পেয়ারার প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। এই ধরনের অ্যালার্জির ফলে চুলকানি, র‍্যাশ, বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।

ব্যাক্টেরিয়াঃ অন্যান্য যে কোন ফলের মতো পেয়ারা তো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। বিশেষ করে যদি পেয়ারা চামড়া ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত থাকে তবে ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হওয়া সম্ভাবনা বেশি। তাই পিয়ারা উপরের চামড়া ফেলে দিয়ে খাওয়া উচিত, তাহলে ব্যাকটেরিয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন। তাই জন্য পেয়ারা উপর কোনো ক্ষত বা কাটা দাগ থাকলে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোঃ যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে। এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া ঘটাতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে।

কিডনি পাথরের ঝুঁকিঃ পেয়ারায় কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষত যারা ইতোমধ্যে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন।

ঔষধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়াঃ যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঔষধ সেবন করেন, তাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা খাওয়ার পর ঔষধের প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পেয়ারা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ক্যালসিয়াম অক্সালেটঃ পেয়ারায় কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে পাথর তৈরি করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষত যারা ইতোমধ্যেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য।

পাতাও ক্ষতি করেঃ শুধু পেয়ারা নয়, এর পাতাগুলি খাওয়াও ক্ষতিকর। পেয়ারা পাতা রক্তাল্পতা, মাথাব্যথা এবং কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পাচনতন্ত্রের সমস্যাঃ কিছু মানুষের জন্য অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, বিশেষত যাদের পেটে আলসার বা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা রয়েছে।

গর্ভবতী মহিলাদের বেশি খাওয়া উচিত নয়ঃ গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মহিলাদের এটি বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ফাইবার বাড়ে, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।

যদিও পেয়ারা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী, তবে এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়। কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে বা বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম

পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, যাতে এর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে উপকারে আসে এবং কোনো অপকারিতা এড়ানো যায়। এখানে পেয়ারা খাওয়ার কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হলো:
  • পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিদিন ১-২টি পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত খাওয়া হলে পেট ফাঁপা বা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা হতে পারে।
  • পেয়ারার খোসায় প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে, বিশেষ করে আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই পেয়ারা খোসাসহ খাওয়া ভালো।
  • পেয়ারা খাওয়ার জন্য সঠিক সময় হলো খাবারের আগে বা খাবারের ১-২ ঘণ্টা পর। এতে হজম ভালো হয় এবং শরীর সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।
  • পেয়ারা খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে এতে থাকা ময়লা বা কীটনাশক দূর হয়।
  • অপরিপক্ক পেয়ারা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই পেয়ারা ভালোভাবে পেকে গেলে খাওয়া উচিত।
  • আপনি যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন, তবে পেয়ারা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • পেয়ারা খাওয়ার জন্য দিনের সকালের বা দুপুরের সময়টা ভালো, কারণ এই সময় শরীর পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে।
এভাবে নিয়ম মেনে পেয়ারা খেলে এর পুষ্টিগুণ থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।

খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া বেশ কিছু উপকারিতা আছে। তবে এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়, বিশেষ করে যদি কোনো হজমজনিত সমস্যা থাকে। খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার কিছু উপকারিতা  তুলে ধরা হলোঃ

  • পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করাঃ পেয়ারা আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় খালি পেটে খেলে এটি হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • শরীরকে ডিটক্সিফাই করেঃ পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনাল এবং ক্যারোটিনের যা সুরের ক্ষতিকারক ফিরাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া টক্সিন দূর করে এবং সামগ্রিক সেলুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করেফিকেশনে সহায়তা করতে পারে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ পেয়ারা তার উচ্চ ভিটামিন সি কনটেন্ট এর জন্য খালি পেটে খেলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।  খালি পেটে একটি খাওয়া শরীরকে ভিটামিন সি আর দক্ষতা শেষে শোষণ করতে দেয় বলে এর প্রত্যাখ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। একটি শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেম বিভিন্ন অসুস্থতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। 
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ পেয়ারায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খুব ভাল কাজ করে থাকে। এ ফল ক্যান্সার এন্ড অক্সিডেন্ট লাইফ ওপেন কোর্স এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। স্তন ওপর স্টেজ ক্যান্সার প্রতিরোধে পেয়ারা খুবই উপকারী হিসাবে কাজ করে। 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ খালি পেটে পেয়ারা খেলে পেট ভরে যায় এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা অনুভব হয় না, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
  • চোখে স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ প্যারা ভিটামিন এ রয়েছে যা দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখতে এবং বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং সানি প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। এতে ভিটামিন এ থাকায় কর্নিয়া কে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে তোলে। তাই প্রতিদিন অন্তত খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা দরকার। 
  • ত্বকের যত্নেঃ সকালে খালি পেটে পেয়ারা খেলে ত্বকের জন্য উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন E ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
  • ঠান্ডা জনিত সমস্যাঃ পেয়ারা শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা লাগা সর্দি কাশি এবং প্রতিরোধ করে। পেয়ারা বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত সমস্যায় অ্যাজমা প্রক্রিয়াটিস প্রতিরোধ করে তোলে। পেয়ারাতে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকলে সেলসমা কমিয়ে দিতে পারে।
  • রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ পেয়ারা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
তবে কিছু মানুষের জন্য খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া অস্বস্তি বা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই যদি আপনি খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার পরে কোনো সমস্যা অনুভব করেন, তবে সেটি বাদ দেওয়া উচিত বা পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়

রাতে পেয়ারা খাওয়ার কিছু সুবিধা ও সম্ভাব্য অসুবিধা রয়েছে। এগুলো ব্যক্তির শরীরের অবস্থা ও হজমক্ষমতার উপর নির্ভর করতে পারে। নিম্নে রাতে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ

রাতে পেয়ারা খাওয়ার সুবিধাঃ 
  • পেয়ারা খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রে আঁশের যোগান বৃদ্ধি পায়, যা হজমের জন্য সহায়ক হতে পারে এবং রাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • পেয়ারার ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রাতে খাওয়া হলে শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়ক হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • পেয়ারা খেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে, যা রাতে খিদে মেটাতে সহায়ক হতে পারে এবং অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
রাতে পেয়ারা খাওয়ার অসুবিধাঃ
  • কিছু মানুষের জন্য পেয়ারার আঁশ রাতে হজম হতে সময় নিতে পারে, যা পেটে ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে পেট ভারী লাগতে পারে, যা রাতে আরামদায়ক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • পেয়ারায় রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। তবে যদি রাতে পেয়ারা খেলে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যায়, তাহলে মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাতে পেয়ারা খাওয়ার সময় পরিমাণে সংযমী হওয়া উচিত এবং খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা সময় নিয়ে ঘুমানো উচিত। যদি কোনো ধরনের অস্বস্তি বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে রাতে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।

পেয়ারা পাতার অপকারিতা

পেয়ারা পাতার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও, কিছু মানুষের জন্য এর ব্যবহারে কিছু অপকারিতা হতে পারে। এখানে পেয়ারা পাতার সম্ভাব্য কিছু অপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ

অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত সমস্যা

পেয়ারা পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার বা এর চা অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে পেটের সমস্যা, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের অস্বস্তি হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা পাতা খেলে বা এর নির্যাস ব্যবহার করলে লিভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো

পেয়ারা পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে যদি কারও রক্তে শর্করার মাত্রা আগে থেকেই কম থাকে, তাহলে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া ঘটাতে পারে।

অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা

কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতার প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। এর ফলে ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি বা অন্য কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য সতর্কতা

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীরা পেয়ারা পাতা বা এর নির্যাস ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এর প্রভাব সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই।

ঔষধের সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া

যদি আপনি কোনো নিয়মিত ঔষধ সেবন করে থাকেন, বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ঔষধ, তবে পেয়ারা পাতা সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি ঔষধের প্রভাবকে পরিবর্তন করতে পারে।

পেয়ারা পাতা ব্যবহারের আগে এর সম্ভাব্য অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পাকা পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা পেয়ারা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী। এখানে পাকা পেয়ারা খাওয়ার কিছু প্রধান উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
  • পাকা পেয়ারা ভিটামিন C এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা-কাশির মতো সাধারণ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • পাকা পেয়ারায় প্রচুর আঁশ রয়েছে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • পেয়ারা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে পটাসিয়াম এবং সলুবল ফাইবার রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • পাকা পেয়ারা কম ক্যালরি এবং উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
  • পাকা পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন A ও C রয়েছে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে।
  • পাকা পেয়ারায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
  • পাকা পেয়ারায় ভিটামিন A রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক।
  • পাকা পেয়ারায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলস দূর করতে সহায়ক এবং বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পাকা পেয়ারা খেলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এটি সঠিকভাবে পাকা থাকলে এর স্বাদও অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

১০০ গাম পেয়ারাতে যে পরিমান  পুষ্টি উপাদান আছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ওয়ান ও শূন্য দশমিক শূন্য ৯ মিলিগ্রাম বি টু পাওয়া যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ১ দশমিক ১ গ্রাম স্নেহ ও ১৫ দশমিক ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।

পেয়ারা নানা রকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম মিনারেল, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ রিবোফ্লেভিন ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও ১৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। গাঁ-গ্রাম থেকে শুরু করে প্রায় সব অঞ্চলে পেয়ারা জন্মে। একদিকে বাণিজ্যিক চাহিদা, আরেকদিকে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা, পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ও কম নয়। এ জন্য প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় একটি দুটি পেয়ারার চারা লাগানো উচিত। ভালোবাসি গাছ। আর গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান।

এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে আপনার পরিচিত বন্ধু মহলে শেয়ার করে দিবেন।    আপনি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুন্দর থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url