কিওর্য়াড ও ইনটেন্ট কিওর্য়াড সম্পর্কে জেনে নিই

কিওয়ার্ড ও ইনটেন্ট কিওয়ার্ড সম্পর্কে আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু ভালো কোন উত্তর খুঁজে পাননি। কোন চিন্তা নাই। কিওয়ার্ড ও ইনটেন্ট  কিওয়ার্ড এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।


এখানে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন- কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ  টপিক জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকাঃ

কি ওয়ার্ড হল এমন শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা লিখে আমরা Google, You tube বা অন্য কোন সার্চ বারে গিয়ে সার্চ করে খুঁজি এবং তার তথ্য পেয়ে থাকি। আমরা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো খুঁজে বের করার জন্য যে শব্দ লিখে সার্চ করি সেসব শব্দই কিওয়ার্ড। কিওর্য়াড কি ও কত প্রকার, ইনটেন্ট কিওর্য়াড কি ও কত প্রকার তা আমরা এখান থেকে জানতে পারবো।

কিওয়ার্ড কি

কিওয়ার্ড হল এমন বাক্য বা শব্দ যা ব্যবহার করে আমরা কোন কিছু খুঁজি। আমরা গুগলে কোন কিছু খোঁজে পাওয়ার জন্য যে শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করে থাকি সেই শব্দকে কিওর্য়াড বলে।

কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি

কিওয়ার্ড অবস্থান ভেদে বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে যা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ 

শর্ট টেইল কিওয়ার্ডঃ এক বা দুই শব্দের হয়ে থাকে তাকে শর্ট টেইল কিওয়ার্ড বলে।

লং টেইল কিওয়ার্ডঃ তিন শব্দের বড় হয়ে থাকে তাকে লং টেইল কিওয়ার্ড বলে।

ব্র্যান্ড কিওয়ার্ডঃ ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত শব্দ বাক্যাংশ যা ব্যবসা খুঁজে পেতে সাহায্য করে তাকে ব্র্যান্ড কিওয়ার্ড বলে।

গ্রাহক নির্দেশিত কিওয়ার্ডঃ কোন পণ্য বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণীর গ্রাহক খোঁজা হয়ে থাকে। প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করে।

জায়গা নিয়ে টার্গেট কিওয়ার্ডঃ কোন নির্দিষ্ট জায়গার জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন বেস্ট গ্রীন সিটি রাজশাহী।

কীওয়ার্ড ইনটেন্ট

কিওয়ার্ড ইন্টেন্ট হলো কিওর্য়াড এর উদ্দেশ্য বোঝা। কিওয়ার্ডের উদ্দেশ্য কি বা কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে সেটাই হচ্ছে কিওয়ার্ড ইনটেন্ট।

কিওয়ার্ড ইনটেন্ট কত প্রকার ও কি কি


কিওয়ার্ড চার প্রকার। যথাঃ

তথ্যভিত্তিক কিওয়ার্ডঃ তথ্যভিত্তিক কিওয়ার্ড দিয়ে বিভিন্ন তথ্য খোঁজা হয় বা নির্দিষ্ট তথ্য জানার জন্য লিখে সার্চ করা হয়। এসব কিওয়ার্ড সাধারণত প্রশ্নবোধক হয়ে থাকে। যেমন- কেন, কি, কিভাবে ইত্যাদি।

নেভিগেশন কিওয়ার্ডঃ নেভিগেশন কিওয়ার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড পণ্য বা সেবার নাম অথবা নির্দিষ্ট জায়গার নাম লিখে সার্চ করা হয়।

কমার্শিয়াল কিওয়ার্ডঃ কমার্শিয়াল কিওয়ার্ড কোন কিছু কিনতে বা কেনার জন্য আগ্রহ সূচক শব্দ প্রকাশ করাকে বোঝায়। যেমন বেস্ট এসইও টুলস ইত্যাদি দিয়ে সার্চ করা হয়।

লেনদেন ভিত্তিক কিওয়ার্ডঃ লেনদেন ভিত্তিক কিওয়ার্ড কোন পণ্য কিনতে বা কেনার আগ্রহ দ্রুতভাবে প্রকাশ করার জন্য এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। যেমন- বাই অফার ডিসকাউন্ট ইত্যাদি।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে করতে হয় 

মানুষ কি ধরনের ওয়ার্ড লিখে প্রতিনিয়ত সার্চ করছে, কারা করছে, কোথা থেকে সার্চ করছে রিসার্চের মাধ্যমে আপনি তা জানতে পারবেন। আপনার মাথার ব্রেইন খাটিয়ে আপনি যদি উপযুক্ত কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করে আর্টিকেল সহজে লিখতে পারেন, তাহলে গুগল আপনাকে সবচেয়ে ভালো র‌্যাংক করাতে পারবেন।


উদহারণস্বরূপ যদি বলি, Windows 11 সম্পর্কে আপনি একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখলেন । আর্টিকেলটির অতীত ভবিষ্যৎ সবকিছু সুন্দর করে তুলে ধরলেন। এখন গুগলে যদি কোন ভিজিটর বেস্ট উইন্ডোজ সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে গুগল তার সামনে সবচেয়ে ভালো ইউনিট সুন্দর আর্টিকেলটি প্রথমে শো করবে। সে যদি আপনার আর্টিকেলটি লিখে সার্চ করে গুগলে ফাস্ট পেইজে আপনার আর্টিকেলটি চলে আসবে। মানুষ কি ধরনের কিওর্য়াড লিখে সার্চ করেে এটা জানার জন্য কিওর্য়াড রির্সাচ করে দেখতে হয়।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়ঃ

কিওয়ার্ড রিচার্জ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকে জানেনা বা বুঝে উঠতে পারে না। কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ শুরু করতে হয় । এখন কিওর্য়াড রির্সাচ নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
নিম্নলিখিত চারটি বিষয় মাথায় রেখে যদি আমরা কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে পারি তাহলে গুগলে সহজে র‌্যাংক করানো সম্ভব।

টপিক সিলেক্ট করাঃ

আপনারা ওয়েবসাইটে কি ধরনের আর্টিকেল আপনি লিখবেন তার তালিকা তৈরি করুন। প্রথমে আপনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ থেকে দশটি টপিক বাছাই করুন। এখানে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই টপিক রিলেটেড আর কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ গুগলে সার্চ করে সেগুলো আপনি আপনার আর্টিকেলে লিস্ট করুন। প্রয়োজনে আপনি গুগল ফ্রি কিওর্য়াড টুলস ব্যবহার করতে পারেন। 

সাব-টপিক সিলেক্ট করাঃ

মূল টপিক সিলেট করার পর প্রয়োজন হবে সাব টপিক সিলেক্ট করা। সফটওয়্যার সিলেক্ট করার জন্য আমি যে আর্টিকেলটি লিখছি সেই রিলেটেড বিষয় কম্পিউটারের বিভিন্ন টপিজ গুলোতে সার্চ করে দেখে যে, টপিকটি সবচেয়ে ইউনিক মনে হবে সেই টপিক এড করা। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোন ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট চিহ্নিত করা যাবে না। কারণ গুগল ডুপলিকেট চিহ্নিত করতে পারে। তাই আমাদের উচিত সরাসরি কপি করা থেকে বিরত থাকা। 

রিলেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে বের করাঃ

আপনি মূল যে কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করেছেন সেই কিওয়ার্ডের সাথে সম্পৃক্ততা আছে এমন রিলেটেড কিছু কিওয়ার্ড খোঁজে বের করা। কেউ যদি সেই রিলেটেড লিখে সার্চ দেয় তাহলে যেন আপনার আর্টিকেলটি শো করে। এজন্য রিলেটেড কিওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে শুধু ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার না করে পাশাপাশি রিলেটেড ব্যবহার করা।

মেইন কিওয়ার্ড এর সাথে লং টেইল কিওয়ার্ড এ্যাড করাঃ

আপনার মেইন কিওয়ার্ড টি যদি হয় মাথা ব্যাথা। এখন আপনি একই সাথে কিছু কি ওয়ার্ড এ্যাড করুন যাতে আপনার টপিকটি লং টেইল হতে পারে, এতে করে এটি আপনার ইউনিক কিওয়ার্ড হবে। যেমন ধরুন মাথা ব্যথা কি? লক্ষণ, কারণ ও  চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন। এভাবে যদি আমরা একটি লং টেইল কিওয়ার্ড লিখতে পারি তাহলে গুগলে সহজে র‌্যাংক করানো যায়।

লেখকের মন্তব্য

কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানা থাকলে পাঠকরা কোন বিষয়ে বেশি পড়তে চাই বা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সেটি জানা যায়। তাই আর্টিকেল রাইটিং সহ এসইও করার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড এর গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য কিওর্য়াড রিসার্চ করা খুবই জরুরী। 

এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে আপনার পরিচিত বন্ধু মহলে শেয়ার করে দিন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url