নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় জেনে নিন
নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় সম্পর্কে হয়তো আপনি খোঁজা খুঁজি করেছেন কিন্তু ভালো কোন উত্তর আপনি পাননি। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় সহ মেয়েদের মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায় জানতে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এখানে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেমন ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় সহ আরো বেশ কয়েকটি টপিকস জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় জেনে নিন
.
চুল প্রতিটি মানুষ ছোট বা বড় প্রত্যকের সৌন্দর্যের প্রতিক। চুল ছাড়া একজন মানুষকে অসম্পূর্ণ লাগে। তাই প্রথম থেকে আমাদের প্রত্যেকের চুলের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চুল পড়া, নতুন চুল গজানো, চুলে তেলের ব্যবহার এরকম অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
চুল পড়া বলতে আমরা কি বুঝি
মাথা থেকে ক্রমশ চুল ঝরে পড়াকে চুল পড়া বলে। চুল পড়া একটি অপ্রীতিকর সমস্যা। চুল স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ঝরে পড়ে আবার গজায় কিন্তু চুল পড়ার হার যদি নতুন গজানোর তুলনায় বেশি হয় তখনই সমস্যা হয়। অতিরিক্ত চুল পড়ার ফলে মাথায় টাক পড়ে আর বিশেষ করে এই সমস্যাটা পুরুষদের বেশি হয়।
চুল পড়ার ধরন
বিভিন্ন ধরনের চুল পড়া হতে পারে। যেমন-
- মাথায় কিছু জায়গা থেকে চুল ঝরে পড়া যাওয়া
- পুরুষ বা মহিলার প্যাটার্ন টাক পড়া
- বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু চুল অসমান ভাবে উঠে যাওয়া
- চুল পড়ার কারণ চুল পড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে
- পুষ্টির অভাব ভিটামিনি ই, জিঙ্ক, সিলেনিয়াম ইত্যাদি।
- মানসিক চাপ
- বংশগত পারিবারিক ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের হতে পারে
- ঘনঘন চুল রং করা
- চুলে রাসায়নিক বা কেমিক্যাল ব্যবহার করলে।
- হরমোনের পরিবর্তনের ফলে পুরুষদের বেশি চুল পড়ে।
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়
চুল প্রত্যেকটি মানুষের জন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে ছেলেদের চুল পড়া কমন সমস্যা। বিভিন্ন কারণে ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পড়া শুরু করে। তাই মানুষ তার চুল ধরে রাখার জন্য অনেক কিছু করে থাকে। জানা যাক ছেলেদের চুল পড়ার কারণ।
চুল পড়ার কারণ সমূহঃ
- মানসিক চাপ
- স্বাস্থ্যগত সমস্যা
- হরমোন জনিত সমস্যা
- খুশকি
- মাদকাসক্তি
- পুষ্টির অভাব
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়ঃ
- মানসিক চাপ কমানো
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
- বেশি করে পানি পান করা নিয়মিত তেল ব্যবহার করা
- নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা
নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় জেনে নিন
চুল পড়ার সমস্যা অনেকেরই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দুইটি কাজ করতে হবে। একটি চুল পড়া রোধ করা আরেকটি হল নতুন চুল গজানো। নতুন চুল গজানোর চারটি উপায় জেনে নেয়া যাক-
পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে খুব ভালো কাজ করে। কয়েকটি পিয়াজ ভালোভাবে বেটিয়ে নিয়ে তার মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের অনেক সমস্যা দূর হবে এবং নতুন চুল গজাবেই।
কালোজিরা ও মেথিঃ কালোজিরা ও মেথি প্রথমে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নারিকেল তেল সাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি গরম পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে চুল গজাবেই আর এ মিশ্রণটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
নিম পাতা ব্যবহারঃ টাক মাথায় চুল গজাতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। প্রথমে এক মুঠো নিম পাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করবেন। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে তারপর নিমের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন।
এতে মাথার খুশকির সমস্যা, চুলের গোড়া মজবুত এবং নতুন চুল গজাবে।
খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তনঃ চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, সাথে আয়রন ও জিংক যুক্ত খাবার ভিটামিন সি এবং কালোজিরা খাবারের সাথে খেলে চুলের বৃদ্ধি ও নতুন চুল গজাতে সহায়তা করবে।
মাথার সামনের চুল গজানোর চার উপায়
নতুন চুল গজানোর চারটি ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে। যা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- পেঁয়াজের রসঃ এক চা চামচ পিঁয়াজের রস নিয়ে অল্প চুলের স্থানে ব্যবহার করুন। আলতো করে মেসেজ করে বিশ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার ব্যবহার করতে হব।
- নিম পাতা ব্যবহারঃ টাক মাথায় চুল গজাতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। প্রথমে এক মুঠো নিম পাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করবেন।এরপর চুলে শ্যাম্পু করে তারপর নিমের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন। এতে মাথার খুশকির সমস্যা, চুলের গোড়া মজবুত এবং নতুন চুল গজাবে।
- নারিকেলের তেলঃ নারিকেল তেল চুলের গোড়া করে মজবুত ও ঘন। চুল পড়া কমাতে ২ টেবিল নারকেল তেল গরম করে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে হবে । ১৫ মিনিট পর পরিস্কার তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন এবং আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এভাবে তিনদিন নারিকেল তেল ব্যবহারে সামনের চুল গজাবেই।
- কালোজিরা ও মেথিঃ কালোজিরা ও মেথি প্রথমে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নারিকেল তেল সাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি গরম পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে চুল গজাবেই আর এ মিশ্রণটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে
চুল গজানোর জন্য কোন তেল ভালো
জোজোবা তেল, আর্গন অয়েল, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, কাঠবাদাম তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল ইত্যাদি তেল গুলো চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জোজোবা তেল চুল গজানোর জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপকরণ।
মেয়েদের মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়
বয়স বাড়ার কারণে বা পরিবেশগত অথবা বংশগত প্রভাবে চুল পড়ে। আবার বিভিন্নভাবে নতুন চুল গজাতে পারে।
- মাথায় ত্বক বা স্ক্যাল্পের উদ্দীপনা দিতে পারলে মাথায় নতুন চুল গজানো সম্ভব।
- নিয়মিত চুল মেসেজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
- ভাইব্রেশন এর মাধ্যমে যদি ফলিকল করা যায় তাহলে নতুন চুল গজাবে।
- শ্যাম্পু ব্যবহার এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেগুলো মাথায় স্ক্যাল্পের মৃত কোষ গুলো ঝরে যেতে সাহায্য করে, অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় মেসেজের মতো করে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাবার, আয়রন জিংক যুক্ত খাবার খেলে মাথায় চুল গজাবে।
- কালোজিরা তেল মাথায় ব্যবহার এবং খাবারের সাথে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল গজাবেই।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
- চুল এমন একটা বিষয় যা মাথায় থাকলে মাথার সৌন্দর্য বাড়ে আর সেই চুল নিয়ে রয়েছে নানা রকমের সমস্যা। যাদের মাথায় চুল নাই তারা মাথায় চুল গজানোর জন্যা কতই কিনা করেন। আপনি কি জানেন কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজাতে পারে?
- একজন মানুষ জন্ম থেকে চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চুল পড়া শুরু করে ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
- কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় তার কোন নির্দিষ্ট উত্তর নাই।
- চুল পড়ার হার ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। আবার কিছু মানুষের চুল ৫০ বছরেও ঘন কালো থাকে। আবার অন্যদের ক্ষেত্রে ২০ বছরেও চুল পড়া শুরু হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
মানুষ হিসেবে আমরা সুন্দর ও ঝলমলে চুল সবাই চায়। কিন্তু সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো চুলের যত্ন না করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। তাই আমাদের সবাইকে চুলের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে প্রথম থেকেই তাহলে আমাদের সবাইকে দেখাবে সুন্দর, পরিপাটি, সুশ্রি এবং স্মার্ট। যদি চুলের কোন সমস্যা হয় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।
এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আমার এই আর্টিকেলটি আপনার ভালে লাগে তাহলে কমেন্ট করবেন এবং আপনার পরিচিত বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।
aminulit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url